১২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না ইরান: খামেনি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:১৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • 70

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি রোববার একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না। তেহরানের এক মসজিদে দেওয়া এই বক্তব্য পরে খামেনির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেছেন, গত জুনে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ। খামেনি বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো ভেতর থেকে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে এবং তাদের মূল কৌশল হলো দেশে বিভেদ তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য ইরানকে নিজের ইচ্ছামতো চালানো এবং ওয়াশিংটনের আনুগত্যে বাধ্য করা। তবে জুনের সংঘাত ইরানকে ভাঙেনি, বরং দেশটির সেনাবাহিনী, সরকার ও জনগণের দৃঢ় অবস্থানের কারণে শক্তিশালী করেছে।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে। খামেনি বলেছেন, দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ এবং শত্রুর চাপ সত্ত্বেও ইরান তার নিজস্ব নীতি বজায় রাখবে।

ইরান আগামী মঙ্গলবার ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে। তবে ইরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ট্যাগঃ

কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না ইরান: খামেনি

আপডেট সময়ঃ ০৪:১৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি রোববার একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না। তেহরানের এক মসজিদে দেওয়া এই বক্তব্য পরে খামেনির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেছেন, গত জুনে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ। খামেনি বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো ভেতর থেকে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে এবং তাদের মূল কৌশল হলো দেশে বিভেদ তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য ইরানকে নিজের ইচ্ছামতো চালানো এবং ওয়াশিংটনের আনুগত্যে বাধ্য করা। তবে জুনের সংঘাত ইরানকে ভাঙেনি, বরং দেশটির সেনাবাহিনী, সরকার ও জনগণের দৃঢ় অবস্থানের কারণে শক্তিশালী করেছে।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে। খামেনি বলেছেন, দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ এবং শত্রুর চাপ সত্ত্বেও ইরান তার নিজস্ব নীতি বজায় রাখবে।

ইরান আগামী মঙ্গলবার ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে। তবে ইরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।