০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনির ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ফেল, ‘দ্বিতীয় ইরান’ হিসেবে আবির্ভূত

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • 17

ইয়েমেনি যোদ্ধাদের হাতে অত্যাধুনিক ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইসরায়েলকে চমকে দিয়েছে। সাম্প্রতিক হামলায় তারা প্রমাণ করেছে যে, ইয়েমেন এখন ইরানের মতো আধুনিক সামরিক শক্তিতে রূপ নিচ্ছে।

২২ আগস্ট গভীর রাতে তেল আবিবের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের চার স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—মার্কিন থাড, আয়রন ডোম, অ্যারো ও ডেভিড’স স্লিং—কোনোটিই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে পারেনি। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর কেঁপে ওঠে।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলার পরে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ছিল, যা ভূমি থেকে সাত থেকে আট হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছে ছোট ছোট সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কয়েক কিলোমিটার এলাকা এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই বছরের সংঘাতে ইয়েমেন প্রথমবারের মতো এই ধরনের ক্লাস্টার মিসাইল ব্যবহার করেছে। এ ধরনের অস্ত্র আগে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইরানের কাছে সীমিত ছিল। ২০২১ সালের সংক্ষিপ্ত সংঘাতে ইরানও একই অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যর্থ করেছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানই সম্ভবত ইয়েমেনিদের হাতে এই আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং ইয়েমেন একটি প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সামরিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।

ট্যাগঃ

ইয়েমেনির ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ফেল, ‘দ্বিতীয় ইরান’ হিসেবে আবির্ভূত

আপডেট সময়ঃ ০৫:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ইয়েমেনি যোদ্ধাদের হাতে অত্যাধুনিক ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইসরায়েলকে চমকে দিয়েছে। সাম্প্রতিক হামলায় তারা প্রমাণ করেছে যে, ইয়েমেন এখন ইরানের মতো আধুনিক সামরিক শক্তিতে রূপ নিচ্ছে।

২২ আগস্ট গভীর রাতে তেল আবিবের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের চার স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—মার্কিন থাড, আয়রন ডোম, অ্যারো ও ডেভিড’স স্লিং—কোনোটিই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে পারেনি। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর কেঁপে ওঠে।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলার পরে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ছিল, যা ভূমি থেকে সাত থেকে আট হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছে ছোট ছোট সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কয়েক কিলোমিটার এলাকা এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই বছরের সংঘাতে ইয়েমেন প্রথমবারের মতো এই ধরনের ক্লাস্টার মিসাইল ব্যবহার করেছে। এ ধরনের অস্ত্র আগে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইরানের কাছে সীমিত ছিল। ২০২১ সালের সংক্ষিপ্ত সংঘাতে ইরানও একই অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যর্থ করেছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানই সম্ভবত ইয়েমেনিদের হাতে এই আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং ইয়েমেন একটি প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সামরিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।