০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্নসাইটে নিজের ছবি দেখে ক্ষুব্ধ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০১:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • 13

একটি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে নিজের এবং অন্যান্য নারীদের ছবি প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ঘটনাটিকে ‘জঘন্য ও লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে তিনি দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই সাইটে শুধু মেলোনিই নন, তার বোন আরিয়ানা মেলোনি এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী এলি শাখলিনের ছবিও পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানির পর বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সাইটটির ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীরা সাইটের নিয়ম ভঙ্গ করে ছবি আপলোড করছিল।

সাইটটি ২০০৫ সালে চালু হয় এবং বন্ধ হওয়ার আগে এতে প্রায় সাত লাখ সাবস্ক্রাইবার ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও পাবলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা বিকৃত বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ লেখাসহ সাইটে আপলোড করছিল।

এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বলেন, “ঘটনাটি শুধু আমার ব্যক্তিগত অপমান নয়, বরং সব নারীর জন্যই অপমানজনক। যেসব নারী এই কাণ্ডে অপমানিত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটা দুঃখজনক যে ২০২৫ সালেও এখনো এমন মানসিকতার মানুষ আছে যারা নারীর মর্যাদা হরণকে স্বাভাবিক মনে করে এবং তাকে অপমান করার চেষ্টা করে।”

উল্লেখ্য, এর আগেও বহু নারী ওই পর্নসাইটটির বিরুদ্ধে অনৈতিক কনটেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু এতদিন তা নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ট্যাগঃ

পর্নসাইটে নিজের ছবি দেখে ক্ষুব্ধ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

আপডেট সময়ঃ ০১:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

একটি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে নিজের এবং অন্যান্য নারীদের ছবি প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ঘটনাটিকে ‘জঘন্য ও লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে তিনি দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই সাইটে শুধু মেলোনিই নন, তার বোন আরিয়ানা মেলোনি এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী এলি শাখলিনের ছবিও পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানির পর বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সাইটটির ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্মটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীরা সাইটের নিয়ম ভঙ্গ করে ছবি আপলোড করছিল।

সাইটটি ২০০৫ সালে চালু হয় এবং বন্ধ হওয়ার আগে এতে প্রায় সাত লাখ সাবস্ক্রাইবার ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও পাবলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা বিকৃত বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ লেখাসহ সাইটে আপলোড করছিল।

এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বলেন, “ঘটনাটি শুধু আমার ব্যক্তিগত অপমান নয়, বরং সব নারীর জন্যই অপমানজনক। যেসব নারী এই কাণ্ডে অপমানিত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটা দুঃখজনক যে ২০২৫ সালেও এখনো এমন মানসিকতার মানুষ আছে যারা নারীর মর্যাদা হরণকে স্বাভাবিক মনে করে এবং তাকে অপমান করার চেষ্টা করে।”

উল্লেখ্য, এর আগেও বহু নারী ওই পর্নসাইটটির বিরুদ্ধে অনৈতিক কনটেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু এতদিন তা নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।