০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে পৃথক তিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২২

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 22

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিনভর এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শেষে পার্কিং এলাকায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। স্থানীয় কর্মকর্তা হামজা শফাৎ জানান, সমাবেশ থেকে লোকজন বের হওয়ার সময়ই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বেলুচিস্তানের ওয়াশুক জেলায় জঙ্গিদের সশস্ত্র হামলায় নয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসীরা একটি পুলিশ থানা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প টার্গেট করে হামলা চালায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে চার দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এসব হামলার জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের দায়ী করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় টিটিপি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, এসব গোষ্ঠী আফগানিস্তান ও ভারতের মদদে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে কাবুল ও নয়াদিল্লি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ট্যাগঃ

পাকিস্তানে পৃথক তিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২২

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিনভর এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শেষে পার্কিং এলাকায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। স্থানীয় কর্মকর্তা হামজা শফাৎ জানান, সমাবেশ থেকে লোকজন বের হওয়ার সময়ই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বেলুচিস্তানের ওয়াশুক জেলায় জঙ্গিদের সশস্ত্র হামলায় নয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসীরা একটি পুলিশ থানা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প টার্গেট করে হামলা চালায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে চার দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এসব হামলার জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের দায়ী করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় টিটিপি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, এসব গোষ্ঠী আফগানিস্তান ও ভারতের মদদে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে কাবুল ও নয়াদিল্লি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।