০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 18

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন ও দাহ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড ক্রাইম) মো. শরীফ আল রাজীব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মাওলানা আ. লতিফ (৩৫) এবং গোয়ালন্দ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া এলাকার অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯)। রঞ্জু গোয়ালন্দের একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

পুলিশ জানায়, নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা ও সংঘর্ষে নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবার করা মামলার তদন্তে উঠে আসে লতিফ হুজুরের নাম। এ ঘটনায় চার হাজারেরও বেশি অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে লতিফ হুজুরের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে, গ্রেপ্তার হওয়া অপর এক আসামি অপু কাজী আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে লতিফ হুজুরের নাম প্রকাশ করেন।

পুলিশ আরও জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে সংঘর্ষে নিহত হন রাসেল মোল্লা এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশও আক্রান্ত হয়; ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরে ক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ওই রাতে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এ পর্যন্ত পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত চলছে, আরও গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময়ঃ ১১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন ও দাহ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড ক্রাইম) মো. শরীফ আল রাজীব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মাওলানা আ. লতিফ (৩৫) এবং গোয়ালন্দ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া এলাকার অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯)। রঞ্জু গোয়ালন্দের একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

পুলিশ জানায়, নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা ও সংঘর্ষে নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবার করা মামলার তদন্তে উঠে আসে লতিফ হুজুরের নাম। এ ঘটনায় চার হাজারেরও বেশি অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে লতিফ হুজুরের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে, গ্রেপ্তার হওয়া অপর এক আসামি অপু কাজী আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে লতিফ হুজুরের নাম প্রকাশ করেন।

পুলিশ আরও জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে সংঘর্ষে নিহত হন রাসেল মোল্লা এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশও আক্রান্ত হয়; ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরে ক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ওই রাতে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এ পর্যন্ত পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত চলছে, আরও গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।