যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালে এবং পরবর্তী সময়ে বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ইতোমধ্যেই একাধিকবার সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনীর।
এ ধারাবাহিকতায় এবার নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকেও হোয়াইট হাউসে বৈঠকের জন্য দাওয়াত পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কে বা কারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনীর বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে নিরাপত্তা সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
শেহবাজ শরিফ ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বৈঠকের পর তিনি আবার নিউইয়র্কে ফিরে এসে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
বৈঠকের নির্দিষ্ট এজেন্ডা প্রকাশ না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত গাজা সংকট নিয়ে মুসলিম দেশের নেতাদের বৈঠকের ধারাবাহিকতা। সেই বৈঠকে পাকিস্তান ছাড়াও তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ইউএই এবং জর্ডানের নেতারা অংশ নিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকগুলো প্রমাণ করছে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদকে আবার কৌশলগতভাবে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরির চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির বিপরীতে ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা দূরত্বপূর্ণ অবস্থায় আছে, বিশেষ করে ভিসা সমস্যা, বাণিজ্য শুল্ক ও মে মাসের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকে কেন্দ্র করে। সূত্র: জিও নিউজ
এডমিন 











