গাজার শিশুদের ওপর ইসরায়েলি হামলার ফলশ্রুতিতে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতিগ্রস্ততার হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আল-জাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার শিশুদের ৮০ভাগেরও বেশি গুরুতর ট্রমার শিকার।
প্রতিবেদনে শিশুদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ বছর বয়সী আবেদ আল-আজিজের বর্ণনা অনুযায়ী, তার বাড়ির পাশ দিয়ে ট্যাংক ঢুকেছিল এবং তিনি পরিবারের সদস্যদের আহত বা নিহত হতে দেখেছেন। তিনি বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
৮ বছর বয়সী লানা আল-শারিফও একটি বোমা হামলার সময় তার বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর ভয়ঙ্কর মানসিক ট্রমার শিকার। তার শরীরে ভিটিলিগো দেখা দিয়েছে এবং প্রতিটি বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়।
থেরাপিস্ট সাবরিন আবু রহমান জানান, শিশুদের মধ্যে শুধু মানসিক ট্রমা নয়, মাথা ব্যথা, পেটের ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, চুল পড়া এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার মতো শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৬৪,০০০ শিশু আহত বা নিহত হয়েছে, এবং প্রায় এক মিলিয়ন শিশু প্রতিদিন যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাঁচার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, যুদ্ধ শেষ হলেও বা ধ্রুব শান্তি এলেও, শিশুদের মধ্যে ট্রমার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে। গাজার স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠন, মানসিক সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
সূত্র: Al Jazeera.
সাজু/নিএ
এডমিন 











